-
সিরাজুল হোসেন খান ( জন্ম ১৯২৪-)
Post on : 2014-02-10 By:Aunik Rahman |সিরাজুল হোসেন খান ছিলেন একাধারে রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা, শ্রমিক নেতা এবং সাংবদিক। তরুণ বয়সে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৪৮ সালে ইস্ট পাকিস্তান মুসলিম স্টুডেন্টস লিগ এর কেন্দ্রীয় কমিটিওতে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন সিলেটের প্রতিনিধি হিসেবে। ঐ কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পাবনার আব্দুল মতিনও সদস্য ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি দৈনিক পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার সহসম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করার পর পুর্বপাকিস্তান সরকারের প্রচার বিভাগে যোগ দেন এবং এক দশক পর ইস্তফা দিয়ে ১৯৬১ সালে বামপন্থী প্রগতিশীল রাজনীতির...
Learn More > -
ইউছুফ আলী ( ১৯০১-১৯৯৬)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনদৌলতপুর গ্রামে ১৯০১ সালে ইউছুফ আলী জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ছিলেন দৌলতপুর গ্রামের ঐক্যের প্রতীক৷ গ্রামবাসীদের মধ্যেকার যে কোনো বিবাদবিসম্বাদ মেটাতে তিনি আপ্রাণ ভূমিকা রাখতেন৷ তিনি এক সময় সহকারী সরপঞ্চের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ দৌলতপুর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় ইউছুফ আলীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল৷ শিক্ষা বিস্তার এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার জন্য গ্রামবাসী তাঁকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে৷ ১৯৯৬ সালে ইউছুফ আলী মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর ছেলে মোহাম্মদ তাহের বর্তমানে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান৷
Learn More > -
আবু ইউসুফ খাঁন ( ১৯০১- ১৯৬১)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনপুরান তোপখানায় ১৯০১ সালে আবু ইউছুফ খান জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ১৯৩৮ সালে হবিগঞ্জে আইন ব্যবসা শুরু করেন৷ মোক্তার হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল৷ তিনি মুসলিম লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজ এলাকার উন্নয়নে সচেষ্ট ছিলেন৷ তিনি গ্রামের গরিব লোকদের বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা দিতেন৷ গরিব লোকদের মামলা পরিচালনা করে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন৷ ১৯৬১ সালে আবু ইউছুফ খান ইন্তেকাল করেন৷ তাঁর বড় ছেলে ছালেহ উদ্দিন খান বুলবুল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা৷ তিনি ২০০১ সালে মৃতু্যবরণ করেন৷
Learn More > -
মৌলভী আব্দুল্লাহ ( ১৯০১-১৯৭৩)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনতোপখানা মহল্লায় মৌলভী আব্দুল্লাহ ১৯০১ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ভারত বিভক্তির পূর্বকালে আসাম প্রদেশসহ অনেক এলাকা ভ্রমন করেন৷ ১৯২২ সালে তিনি বড় বাজারে পিকেটিং করার সময় গ্রেফতার হন৷ ১৯৪০ সালে খেলাফত আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে তিনি ছয় মাস রাজবন্দি ছিলেন৷ ১৯৫৬ সালে নেজামে ইসলামে যোগ দেওয়ার আগে তিনি মুসলিম লীগ আসাম প্রদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন৷ ১৯৬০ সালে মৌলিক গণতন্ত্র চালু হলে তিনি একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন৷ ১৯২৭ সালে জমিদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন৷ বানিয়াচঙ্গে ১৯৩৫ সালে দুর্যোগ ও ১৯৪৩ সালে ম্যালেরিয়া দেখা দিলে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়ে তিনি...
Learn More > -
এহিয়া খান চৌধুরী ( ১৯০১-১৯৮৫)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনএহিয়া খান চৌধুরী বানিয়াচং সুজাতপুর গ্রামে ১৯০১ সালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি তত্কালীন সরকারের স্বনামধন্য জেলা প্রশাসক ও পরবতর্ীতে সচিব পদে উন্নীত হন৷ সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৬২ সালে তিনি এম এন এ নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দেশে সুখ্যাতি অর্জন করে ছিলেন৷ এহিয়া খান চৌধুরী করিমগঞ্জ বারোখান নামক স্থানে হাই স্কুল ও করিমগঞ্জে শহরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন৷ ১৯৮৫ সালে এই কীর্তিমান পুরুষ মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর সুযোগ্য পুত্রদ্বয় জনাব জাকারিয়া চৌধুরী একজন স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং শ্রম, জনশক্তি ও জনকল্যাণ...
Learn More > -
হোসেন ঠাকুর ( ১৯০১-১৯৩৮)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনহোসেন ঠাকুর ১৯০১ সালে ঠাকুরপাড়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন৷ বানিয়াচং এল আর হাই স্কুল থেকে তিনি মাত্র ছয় মাস লেখাপড়া করে ১ম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশ করেন৷ খেলাফত আন্দোলন গতিশীল করার জন্য বেশ কিছু দিন তিনি হবিগঞ্জে অবস্থান করেন৷ তিনি হবিগঞ্জের মহকুমা প্রশাসকের সন্তানসহ অনেক ছাত্রকে লেখাপড়ায় সহায়তা দেন৷ তন্মধ্যে এম এ রব ও নগেন্দ্রনাথ ছিলেন অন্যতম৷ মাত্র ৩৭ বত্সর বয়সে ১৯৩৮ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷
Learn More > -
ডা. ওবায়েদুল হাসান ( ১৮৯৯-১৯৭৬)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৯৯ সালে কামালখানী মৌলবী বাড়িতে ডাক্তার ওবায়েদুল হাসান জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি খান বাহাদুর রফিকুল হাসানের পঞ্চম ছেলে৷ তিনি একজন দক্ষ ডেন্টাল সার্জন ছিলেন৷ দীর্ঘদিন ভারতের শিলচরে স্বাধীনভাবে চিকিত্সা করেন৷ তিনি এগার বছর শীলচর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন৷ ভারত বিভক্তির পর তিনি ঢাকায় এসে তোপখানা রোডে একটি ক্লিনিক খোলে চিকিত্সা সেবা প্রদান করে গেছেন৷ তাঁর চার ছেলের মধ্যে ডা. এ, হাসান বর্তমানে সিলেটে হাসান ডেন্টাল ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিত্সা সেবায় উল্লেখযোগ্য সুনাম অর্জন করেছেন৷ তিনি কেন্দ্রীয় ডেন্টাল এসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি৷ তিনি বানিয়াচং সমিতি সিলেট এর প্রতিষ্ঠাতা...
Learn More > -
ক্বারী শাহ মুমিন উদ্দিন ( ১৮৯৭-১৯৫৭)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশাহ মুমিন উদ্দিন বানিয়াচং সদরে ১৯৯৭ সালে এক পীর বংশে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা ছিলেন শাহ নছর উদ্দিন৷ পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তিনি দ্বীনি শিক্ষা লাভ করে ইংরেজিতে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য স্থানীয় হাই স্কুলে ভর্তি হন৷ এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার সময় স্কুলের পড়াশোনা ত্যাগ করে স্বদেশী আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন৷ বিলেতী পণ্য বর্জন এবং খদ্দরের কাপড় পরিধানের জন্য তিনি গ্রামে গ্রামে প্রচার কার্যে নেতৃত্ব দেন৷ শাহ মুমিন উদ্দিন ১৯৩০ সালে স্থানীয় কৃষকদের উন্নয়নে কৃষক সমিতি গঠন করেন৷ ১৩৫০ বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় ক্বারী মুমিন উদ্দিন সমাজ কমর্ীদের নিয়ে মৃতদের সত্কারের কাজ সমপন্ন করতেন৷ তিনি এতিম...
Learn More > -
রশিদুল হাসান ( ১৮৯৭-১৯৯২)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৯৭ সালে কামালখানী মৌলভী বাড়িতে রশিদুল হাসান জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা খানবাহাদুর রফিকুল হাসান ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্টার৷ তিনি মুরারী চাঁদ কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত বিএ পাশ করে কলকাতা হাই কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন৷ ১৯৩৭ সালে তিনি কলকাতায় সাবজজ হিসেবে যোগদান করেন৷ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা সদরে জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৫৮ সাল তিনি কুমিল্লা জজকোর্ট থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷ ইসলামিক মিশন ও কোরান শরীফের বঙ্গানুবাদ তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ৷ এছাড়াও তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে অনেক প্রবন্ধ লিখেন৷ ১৯৯২ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর...
Learn More > -
শেখ গোলাপ আলী ( ১৮৯৬-১৯৬৭)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনগোলাপ আলী ১৮৯৬ সালে যাত্রাপাশা মহল্লায় পারু শেখের ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন৷ পিতা ছিলেন ধর্মানুরাগী ব্যক্তি৷ তিনি একটি মসজিদ স্থাপন করেছিলেন যা আজও পারু শেখের মসজিদ বলে খ্যাত৷ শেখ গোলাপ আলী ছিলেন একজন সমাজ সেবক৷ তিনি বানিয়াচং আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন৷ তিনি ছিলেন নির্বাচিত সরপঞ্চ৷ সামাজিক বিচার-আচারে তার অনেক ভূমিকা থাকতো৷ পায়ে হেঁটে অনেক দূর পর্যন্ত গিয়ে বিচার কার্যে গিয়েছেন৷ বানিয়াচঙ্গের ম্যালেরিয়ার সময় তিনি অনেক রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করেছেন৷ গরিবের জন্য রিলিফ বরাদ্দ বাড়াতে তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন৷ গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অনেক অবদান ছিল৷...
Learn More > -
ডা. সৈয়দ গোলাম রহিম (ময়না মিয়া) ( ১৮৯৫-১৯৯২)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনবিশিষ্ট সমাজ সেবক ডা. সৈয়দ গোলাম রহিম (ময়না মিয়া) ১৮৯৫ সালে মীর মহল্লায় সৈয়দ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা সৈয়দ গোলাম ছামদানী একজন আলেম ও পীর ছিলেন৷ তিনি এলএমএফ পাশ করে কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে চাকরিতে যোগদান করেন৷ এক ইংরেজ সার্জনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন৷ শেষ পর্যায়ে বাড়িতে দাওয়াখানা খুলে স্বল্প খরচে রোগীর চিকিত্সা বিধান করতেন৷ ১৩৪৯ বাংলার ম্যালেরিয়ার বছর তিনি চিকিত্সা সেবায় অনেক অবদান রেখেছেন৷ তিনি ছিলেন একজন দানশীল ব্যক্তি৷ তিনি নিজ এলাকার মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা ও স্কুলে জমি দান করে গিয়েছেন৷ ১৯৯২ সালে নিজ বাড়িতে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ ময়না...
Learn More > -
আতিকুল হাসান ( ১৮৯৫-১৯৩৮)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনখান বাহাদুর রফিকুল হাসানের দ্বিতীয় পুত্র আতিকুল হাসান কামালখানী মহল্লায় ১৮৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৯২৫ সালে 'এর্শাদে মুর্শেদ' নামে তাঁর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল৷ পেশোয়ারের পীর হযরত শাহ আহছান উল্লাহ সাহেবের জীবন ও উপদেশ বিষয়ে এই গ্রন্থে বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে৷ আতিকুল হাসান অল্প বয়সেই ১৯৩৮ সালে মৃতু্যবরণ করেন৷ তিনি নিজকে সর্বদা ইসলামী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রাখতেন বলে জানা যায়৷
Learn More > -
গোলাম মাহিদ ( ১৮৯৫-১৯৪৭)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনতকবাজখানী মহল্লায় ১৮৯৫ সালে ঐতিহ্যবাহী মাহিদ পরিবারে গোলাম মাহিদ জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৯১৯ সালে তিনি এলআর হাই স্কুল থেকে ম্যাট্টিক, ১৯২১ সালে মুরারি চাঁদ কলেজ থেকে আইএসসি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ও বিটি পাশ করেন৷ ১৯২৬ সালে তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন৷ সর্বশেষে তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন৷ এই পদে আসীন থাকা অবস্থায় ১৯৪৭ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ গোলাম মাহিদ শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি স্কুল, মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন৷ তাঁর প্রথম পুত্র এ এ জি কবির অবসর...
Learn More > -
আব্দুল মতলিব (সুরুজ মিয়া) ( ১৮৯৪-১৯৮৬)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনআব্দুল মতলিব (সুরুজ মিয়া) ১৮৯৪ সালে শরীফখানী মহল্লার ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন৷ ঠাকুরবাড়ি একটি প্রাচীন সম্বান্ত বংশের বাসস্থান৷ সুরুজ মিয়া প্রথম জীবনে আসামের শিলচরে ইংরেজ সরকারের চাকরি করতেন৷ দেশ বিভাগের পর তিনি হবিগঞ্জে সরকারি পদে চাকরি করেন৷ এর মধ্যেই তাঁর বড় ছেলে গোলাম মোস্তাফা একজন কৃতি ফুটবলার হিসেবে সুনাম অর্জন করেন৷ তিনি তখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন৷ মাত্র ২৭ বছর বয়সে ১৯৫৭ সালে গোলাম মোস্তাফা মৃতু্যবরণ করেন৷ মৃতু্যর পূর্বে তিনি জাতীয়ভাবেও খেলাধুলার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন৷ প্রথম ছেলের মৃতু্যর পর সুরুজ মিয়া আরো এক বছর বেঁচেছিলেন৷ ১৯৫৮ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ সুরুজ...
Learn More > -
ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস ( ১৮৯৪-১৯৫৭)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনরামনাথ বিশ্বাস ১৮৯৪ সালে বানিয়াচং বিদ্যাভূষণ পড়ায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম ছিল বিরজা নাথ বিশ্বাস৷ তিনি এল আর হাই স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেন৷ আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় পিতৃ বিয়োগ হওয়ার পর তিনি হবিগঞ্জ জাতীয় ভেণ্ডার সমিতির অধীনে ১৯২১ সালে ম্যানেজার পদে চাকরি লাভ করেন৷ বাল্যকাল থেকে খেলাধুলায় আসক্ত রামনাথ বিশ্বাস বাইসাইকেল চালনায় বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করেন৷ তাঁর অন্তুরে জন্ম নেয় দেশ ভ্রমণের স্পৃহা ৷ কয়েক বছর হবিগঞ্জ ভেণ্ডার সমিতিতে চাকরি করে একদিন তিনি বাইসাইকেলে দেশ ভ্রমণে বের হন৷ বেশ কিছু দিন ভারতে থেকে বহু তীর্থ স্থান দেখে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন৷ এক পর্যায়ে...
Learn More > -
ছিদ্দিক হাসান ( ১৮৯৩-১৯৭০)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনকামালখানী মৌলভী বাড়িতে খানবাহাদুর রফিকুল হাসানের ঔরসে ছিদ্দিক হাসান জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি কলকাতা থেকে বি.এ পাশ করে ১৯১৯ সালে নিজ বাড়ির সাব রেজিস্টার অফিসে চাকরিতে যোগদান করেন৷ পরে বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন৷ একজন শিক্ষানুরাগী, দয়ালু ও ধার্মিক হিসেবে তিনি সকলের কাছে ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র৷ তাঁর ছয় ছেলে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ করে জাতীয় ও আনতর্জাতিক ভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন৷ বড় ছেলে নজমুল হাসান জাহেদ একজন সফল শিল্পপতি হিসেবে আনতর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন৷ তিনি দেশে স্কুল কলেজ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে আর্থিক সাহায্য প্রদান করছেন৷ বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জ ২ এর জাতীয় সংসদ...
Learn More > -
মৌলানা আব্দুন নূর ( ১৮৯২-১৯৬১)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৯২ সালে খাগশ্রী মহল্লায় মৌলানা আব্দুন নূর জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা ছিলেন একজন খ্যাতনামা মুন্সী৷ তিনি অনেক ছাত্রকে আরবি ও উর্দু শিখিয়ে সম্মান অর্জন করেন৷ মোঃ আব্দুন নূর বাবার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে কলকাতা সরকারি মাদ্রাসায় ভর্তি হন৷ অর্থ সংকটের কারণে তিনি প্রাইভেট ছাত্র পড়িয়েও কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট করেন এবং উচ্চ শিক্ষায় সনদ লাভ করেন৷ উনিশ শতকে তিনি বানিয়াচঙ্গে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন, অবশেষে এক দ্বীনদার সুবক্তা বিদেশী আলেমকে নিয়ে শেখের মহল্লায় একটি নিউস্কিম জুনিয়র মাদ্রাসা স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন৷ আব্দুন নূর ও আব্দুল ওয়াব সাহেব...
Learn More > -
মাষ্টার হাতিম উল্যা খান ( ১৮৯২-১৯৫১)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনতোপখানা মহল্লায় ১৮৯২ সালে মাষ্টার হাতিম উল্যা খান জন্মগ্রহণ করেন৷ বর্তমান বানিয়াচং এল.আর. হাই স্কুল থেকে তিনি মুসলমান ছাত্রদের মধ্য থেকে প্রথম এন্ট্রান্স পাশ করেন৷ তিনি সিলেট সরকারি কলেজ বি.এ. পাশ করে বানিয়াচং এল আর হাই স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন৷ খেলাফত আন্দোলন শুরু হলে তিনি স্কুল ত্যাগ করে আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করলে বৃটিশ সরকার তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে৷ তিনি বানিয়াচং ওলামা তানজিম কমিটি গঠন করে এড়ালিয়া মাঠে এক বিরাট জনসভার আয়োজন করেন৷ উক্ত জনসভার মাধ্যমে হোসাইন আহমদ মাদানী (রঃ) প্রথম বানিয়াচং আসেন৷ ১৯৫১ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন৷ তাঁর বড় ছেলে আব্দুল মালেক সমাজ...
Learn More > -
কালীপদ বিশ্বাস ( ১৮৯২-১৯৬১)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনচৌধুরী পাড়া মহল্লায় ১৮৯২ সালে শ্রী কালীপদ বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি প্রায় দশ বত্সর এল আর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৪১ সালে যখন হেড মাষ্টার পদে লোক নেওয়ার জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় তখন কালীপদ বিশ্বাস অনেকের অনুরোধে দরখাস্ত করেন৷ তিনি ছিলেন মাত্র এন্ট্র্যান্স পাশ৷ বিএ এবং এমএ পাশ অনেক পরীক্ষার্থী থাকলেও স্কুল কতর্ৃপক্ষ এবং তত্কালীন জেলা প্রশাসক কালীপদ বিশ্বাসের প্রশাসনিক দক্ষতা, সততা, জ্ঞানের প্রখরতা এবং আচার আচরণ বিবেচনা করে তাঁকেই হেডমাষ্টার পদে নিয়োগ দেন৷ তিনি নিঃস্বার্থ ও অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন৷ ১৯৬১ সালে কালীপদ বিশ্বাস মৃতু্যবরণ করেন৷
Learn More > -
নূরুল হোসেন খান ( ১৮৯২-১৯৭৩)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জননূরুল হোসেন খান ১৮৯২ সাল সাগর দীঘির পশ্চিম পাড়ে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর বাবার নাম হেদায়েত উল্লা খান৷ বানিয়াচং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন হেদায়েত উল্লা খান প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তাঁর বাবার স্মৃতি করে আছে৷ নুরুল হোসেন খান ওকালতি পাশ করে হবিগঞ্জ ফৌজদারি কোর্টে আইন ব্যবসায় সুনাম অর্জন করেন৷ তত্সময়ে মুসলমানদের মধ্যে হবিগঞ্জে তিনিই প্রথম উকিল ছিলেন৷ ওকালতি পেশায় উন্নতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে নূরুল হোসেন খান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন৷ তিনি সরাসরি ভোটে লোকাল বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রায় ৩০ বছর উক্ত পদে বহাল থেকে নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন৷ তিনি দীর্ঘদিন ভাইস...
Learn More > -
সুশীল কুমার সেন ( ১৮৯১- ১৯৫৪)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনসেনপাড়া মহল্লায় ১৮৯১ সালে সুশীল কুমার সেন জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা কৈলাশ চন্দ্র সেন ছিলেন সাবরেজিষ্টার৷ ১৯০৬ সালের আগস্ট মাসে সুরমা উপত্যকার রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে শ্রীহট্টের বিপিন পালের জ্বালাময়ী বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুশীল কুমার ও তাঁর ভ্রাতা বীরেন্দ্র কুমার কলকাতায় পাড়ি জমান৷ এ সময় কলকাতা প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি স্বদেশী মোকদ্দমা শুরু হয়৷ বিচারের দিনে পুলিশ জনতার স্বতস্ফূর্ত শ্লোগান বন্ধ করার জন্য লাঠিচার্জ করে৷ ঐ সময় জনতার মধ্য থেকে ১৫/১৬ বছরের বালক সুশীল কুমার সেন পুলিশের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং পাল্টা পুলিশকে আঘাত করেন৷ এতে...
Learn More > -
আব্বাস উল্লাহ ( ১৮৯১-১৯৭০)
Post on : 2013-04-09 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনকবি আব্বাস উল্লাহ ১৮৯১ সালে কুতুবখানী মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন৷ প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া না থাকলেও তিনি বই এবং পুঁথি পড়ায় পারদশর্ী ছিলেন৷ তিনি কবিতা, গান, গাঁথা ইত্যাদি রচনা করে বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন৷ ১৯৬৪ সালে বন্যার সময় তিনি দীর্ঘ একটি গান লিখেছিলেন যা এখনও লোকমুখে শোনা যায়৷ ১৯৭০ সালে তাঁর মৃতু্য হয়৷
Learn More > -
দেওয়ান আলী রাজা ( ১৮৯১-১৯৮৫)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনবানিয়াচং রাজ বংশের তেরতম পুরষ দেওয়ান আলী রাজা ১৮৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ১৯৩৫ সালে কংগ্রেস নিম্ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ তাঁর সময় রাজ পরিবারের অনেক সমপদ হাতছাড়া হয়েছে৷ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তিনি ১৯৮৫ সালে মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর ছেলে হারুন রাজা তীক্ষ মেধা সমপন্ন ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন৷ তিনি একজন বীরপুরুষও ছিলেন৷
Learn More > -
মুন্সী শাহ মোহাম্মদ হোসাইন ( ১৮৯০-১৯৬৮)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনমুন্সী শাহ মোহাম্মদ হোসাইন ১৮৯০ সালে হিয়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পূর্ব পুরুষ হবিগঞ্জ ফানডাইল এর বাসিন্দা ছিলেন৷ পূর্ব পুরুষের মাজারে ওরশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তিনি হিয়ালা গ্রামে বসবাস শুরু করেন৷ ব্রিটিশ আমলে শালিসিতে অসাধারণ ভূমিকার কারণে তিনি মুন্সী খেতাবে ভূষিত হন৷ পরবতর্ী জীবনে এলাকায় তিনি আগুন্যা মুন্সী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত হয়ে উঠেন৷ তিনি ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সমর্থক ছিলেন৷ তিনি গ্রামের লোকদের সত্ পথে পরিচালনার জন্য ওয়াজ নসিহত করতেন এবং অন্যায় কাজে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন৷ তাঁর সন্তানদের মধ্যে শাহ দরবেশ আলী ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তাঁরই ছেলে...
Learn More > -
আহমদ হোসেন খাঁন ( ১৮৮৮-১৯৫৮)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনপুরান তোপখানা মহল্লায় ১৮৮৮ সালে আহমদ হোসেন খান জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি এলএল.বি পাশ করে হবিগঞ্জ শহরে আইন ব্যবসা শুরু করেন৷ তিনি ছিলেন হবিগঞ্জে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন অন্যতম সংগঠক৷ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে তিনি খুব সক্রিয় ছিলেন৷ পাকিস্তানি আমলে তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তিনি অকৃতদার ছিলেন৷ তিনি ছিলেন বানিয়াচঙ্গের কৃতিসন্তান সিরাজুল হোসেন খানের মামা৷
Learn More > -
ক্বারী মীর্জা ইদ্রিস উদ্দিন ( ১৮৮৭-১৯৬৭)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনকামালখানী মহল্লায় ১৮৮৭ সালে ক্বারী মীর্জা ইদ্রিস উদ্দিন জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা মীর্জা মোহাম্মদ ইউসুফ তরফ পরগণার বাসিন্দা ছিলেন৷ মীর্জা ইদ্রিস উদ্দীন নিজ বাড়িতে একটি মক্তব চালু করেন৷ এক সময় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ও মক্তব দুটোই তাঁর বাড়িতে পরিচালিত হতো৷ তাঁর বাড়িতে জ্ঞানী লোকদের সমাগম ছিল৷ বানিয়াচঙ্গের অনেক আলেম তাঁর এখানে এসে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতেন৷ তিনি খেলাফত আন্দোলনের একজন সক্রিয় কমর্ী ছিলেন৷ নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতির সঙ্গেও তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷ ১৯৩৫ সালের দুর্যোগ এবং ১৯৪৩ সালের ম্যালেরিয়ার বছর তিনি আর্তের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন৷ ১৯৬৭ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর...
Learn More > -
শাহ মৌলানা আমীর ( ১৮৮৫-১৯৭১)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৮৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গুনুই গ্রামে শাহ মৌলানা আমীর জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ১৯০৩ সালে ইসলামী শিক্ষা লালন কেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে অল্প দিনের মধ্যেই লাঠি ও তরবারি পরিচালনা এবং মুষ্ঠিযুদ্ধ প্রতিযোগিতায় দেওবন্দ ছাত্রদের মধ্যে বিশেষ স্থান লাভ করেন এবং ভিন্নুট বীর উপাধিপ্রাপ্ত হন৷ ঐ মাদ্রাসার লেখাপড়ার শেষ পর্যায়ে মুসলিমবিদ্বেষী বিদেশীর অর্থপুষ্ঠ এক প্রবল প্রতাপশালী চেয়ারম্যান দেওবন্দ মাদ্রাসা ও এলাকার বিরোধিতা করলে তিনি তাকে হত্যা করেন এবং ছয় মাস জেল খাটেন৷ কলকাতায় তরবারি ও মুষ্ঠিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের উস্তাদ ছিলেন শাহ মৌলানা আমীর৷ হোসেন শহীদ সোরাওয়াদর্ী তখন...
Learn More > -
গোলাম হোসেন ( ১৮৮৫-১৯৩৭)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশেখের মহল্লায় ১৮৮৫ সালে গোলাম হোসেন জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে হবিগঞ্জ হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ করে ঐ স্কুলেই শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন৷ ১৯০৫ সালে তিনি পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন৷ ধমর্ীয় ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ থেকে তিনি পুলিশ বিভাগ এবং নিজ গ্রামে সুনাম অর্জন করেছিলেন৷ তিনি ১৯৩৭ সালে মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর বড় ছেলে গোলাম রব্বানী (কাপ্তান মিয়া) সচিবালয়ে প্রশাসনিক পদে সততার সাথে দীর্ঘদিন চাকরি করেন৷ ছোট ছেলে গোলাম মোস্তফা (লোকমান মিয়া) বিএ পাশ করে বানিয়াচং এল আর হাই স্কুলে কিছু দিন শিক্ষকতা করেন৷ পরে সিলং কন্ট্রালার অফিসে চাকরি করে মাত্র ৪০ বছর বয়সে ১৯৪৫ সালে মৃতু্যবরণ করেন৷
Learn More > -
কমরেড আদম আলী ( ১৮৮৪-১৯৫৩)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনকমরেড আদম আলী ১৮৮৪ সাল জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম শেখ শাহ মোহাম্মদ৷ কমরেড আদম আলী উচ্চ শিক্ষিত না হলেও তাঁর বাচনভঙ্গি এবং বক্তৃতা উপস্থাপনায় মানুষ মুগ্ধ হতো৷ সমাজের যে কোনো অন্যায় অবিচার ও ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিবাদী বক্তৃতায় মানুষ আকৃষ্ট হতো৷ তিনি পায়ে হেঁটে শীলচর গিয়ে তদানীন্তন প্রাদেশিক মেম্বারগনের মাধ্যমে প্রজাস্বত্ব আইন পাশ করায় ভূমিকা রেখেছিলেন৷ তাঁর নেতৃত্বে মৌলানা ভাসানী বানিয়াচং আসেন৷ তিনি কৃষকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে হবিগঞ্জ পর্যন্ত আন্দোলন মাতিয়ে রাখতেন৷ খেলাফত আন্দোলন ও ভারত ছাড় আন্দোলনে কৃষক প্রজাস্বত্ব আইন আন্দোলনে তাঁকে অনেক নির্যাতন ও কারাভোগ করতে হয়েছে৷...
Learn More > -
দেওয়ান উছমান রাজা ( ১৮৮৪-১৯৪১)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৮৪ সালে রাজবাড়িতে দেওয়ান উছমান রাজা জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ২ নম্বর তালুকের জমিদার দেওয়ান আজমান রাজার জৈষ্ঠ্য পুত্র৷ শৈশবকাল হতে দেওয়ান উছমান রাজা ইসলামের খেদমতে আত্মনিয়োগ করেন৷ বাড়ির অন্যান্যদের চেয়ে তিনি ছিলেন আলাদা৷ তাঁর মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ ছিল না৷ আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপনে তিনি জায়গা ও অর্থ দান করে অগ্রণী ভূমিকা নেন৷ মাদ্রাসার সেক্রেটারি হিসেবে তিনি বাত্সরিক ওয়াজে হযরত মৌলানা সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানী (রাঃ) কে প্রতি বছর বানিয়াচং আনার ব্যবস্থা করতেন৷ ১৯৪১ সালে নিঃসন্তান অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন৷ দেওয়ান উছমান রাজার মৃতু্যর পর উত্তরাধিকার সূত্রে রাজ পরিবারের সম্পত্তির মালিক হন...
Learn More > -
মৌলানা মোশাররফ হোসেন ( ১৮৮৩-১৯৫৩)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনমৌলানা মোশাররফ হোসেন ১৮৮৩ সালে শেখের মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন৷ নবাব খাজা হাবিবুল্লা বাহার প্রসঙ্গে ফার্সি ভাষায় জীবনচরিত লিখে তিনি ঐ পরিবারে কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হন৷ আহসান মঞ্জিল থেকে নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ রক্ষা করলে তত্কালীন নবাব তাঁকে রোকনপুর এলাকায় অনেক জমি দান করেন৷ তিনি পত্র লিখে দান গ্রহণে অসম্মতি জানিয়ে তাদের জমি ফেরত দেন৷ তিনি রাজা পঞ্চম জর্জের মৃতু্যতে ফার্সি ভাষায় শোকবার্তা প্রেরণ করেন৷ এই শোকবার্তায় প্রীত হয়ে রানী তাকে স্বর্ণপদক দিয়ে গোল্ড মেডেলিষ্ট অব বেঙ্গল উপাধিতে ভূষিত করেন৷ তিনি অল বেঙ্গল টিচার্স এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করেন৷ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মৌলানা...
Learn More > -
কবির মিয়া ( ১৮৮৩-১৯৮৬)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনকবির মিয়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন সাগরদিঘীর পূর্বপাড়ে৷ তাঁর জন্মসাল ছিল ১৮৮৩৷ তিনি ছোট বেলা থেকেই খেলাধুলায় খুব পারদশর্ী ছিলেন৷ পরবতর্ীতে বাংলাদেশ ও আসামের বিভিন্ন জেলায় ফুটবল খেলে তিনি বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ তিনি বানিয়াচঙ্গে খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতা করে এখানকার খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নে সচেষ্ট ছিলেন৷ তিনি ১৯৮৬ সালে মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান একজন কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় ও রেফারি ছিলেন৷ কবির মিয়ার অন্য এক ছেলে হামিদুর রহমান আরজ বানিয়াচং তিন নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান৷
Learn More > -
আবুল হোসেন খান ( ১৮৮৩-১৯৬৩)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনআবুল হোসেন খান সাগরদীঘির পশ্চিম পাড়ে ১৮৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম মুন্সী হেদায়েত উল্লা খান৷ খেলাফত আন্দোলনে তিনি মাষ্টার হাতিম উল্লা এবং মৌলানা সিকান্দার আলীর সাথে চৌদ্দ মাস কারাভোগ করেন৷ তিনি বানিয়াচং আলিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি হিসেবে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করে মাদ্রাসার প্রভূত উন্নয়ন করেন৷ ১৯৬৩ সালে তিনি পরলোক গমন করেন৷ তাঁর সুযোগ্য ছেলে জনাব সিরাজুল হোসেন খান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী ছিলেন৷ এর পূর্বে তিনি বামপন্থী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ এশিয়া অঞ্চলের একজন সাংবাদিক হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক...
Learn More > -
মুন্সী আব্দুল হক ( ১৮৮২-১৯৫৪)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনমুন্সী আব্দুল হক ১৮৮২ সালে আদমখানী মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি স্থানীয় এম ই স্কুল থেকে লেখাপড়া করে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স পাশ করেন৷ তিনি নিজ বাড়িতে ছাত্রদের সংঘবদ্ধ করে আধুনিক জ্ঞান দান করতেন৷ তিনি ৫/৬ নম্বর ইস্টেটের ম্যানেজার হিসেবে সুষ্ঠুভাবে কার্যাদি পরিচালনার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন৷ ১৯২২ সাল থেকে দীর্ঘদিন তিনি বানিয়াচং থানা রিলিফ কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন৷ সামাজিক ন্যায় বিচারে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা ছিল৷ ১৯৫৪ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর তিন ছেলে৷ বড় ছেলে আব্দুল মজিদ বিএ পাশ করে করাচিতে টেরিপ কমিশনার হিসেবে দীর্ঘ দিন চাকরি করেন৷ ১৯৬০ সালে তাঁর মৃতু্য হয়৷ মেজ ছেলে ইজুত আলী...
Learn More > -
ফকির চাঁদ ( ১৮৮১-১৯৫২)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনফকির চাঁদ ১৮৮১ সালে জাতুকর্ণ পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা আয়াতুল্লা তত্সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন৷ ফকির চাঁদ ১৯০০ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন৷ পরে বি.টি- ডিগ্রি লাভ করে সিলেট সরকারি হাই স্কুলে সহকারী হেডমাষ্টার হিসেবে শিক্ষকতা করেন৷ দীর্ঘকাল চাকরি করার পর ১৯৫২ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর উত্তরসূরীগণ বর্তমানে সিলেট নয়া সড়কে বসবাস করে আসছেন৷
Learn More > -
বৃন্দাবন দাস ( ১৮৮০- )
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনবৃন্দাবন দাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিথঙ্গল গ্রামে৷ তাঁর ছিল প্রচুর ভূসম্পত্তি৷ তবে অকারণে তিনি টাকা পয়সা ব্যয় করতেন না৷ তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সঞ্চয় শুরু করেন এবং ঐ অর্থ দিয়ে ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ৷ কালেক্রমে এটিই হয়ে ওঠে সমগ্র হবিগঞ্জ জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান৷ তাঁর পুত্র বিনয় ভূষণ দাসও পরবতর্ী সময়ে নানান সমাজসেবামূলক কাজে যোগ দেন৷ তিনি একজন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার ছিলেন৷ তিনি গরিব রোগীদের বিনা টাকায় চিকিত্সা করতেন৷
Learn More > -
আরমান আলী শাহ ( ১৮৭৭-১৯৪৪)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনতকবাজখানী মহল্লায় ১৮৭৭ সালে আরমান শাহ জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর বাবা মুন্সি শেখ আক্রাম আলী শাহ তদানীন্তন বানিয়াচঙ্গের জমিদার দেওয়ান আলম রাজার আমন্ত্রণে নবীগঞ্জ মিনাজ পুর গ্রাম থেকে বানিয়াচং এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন৷ ১২০০ সাল থেকে ১৩০০ সাল পর্যন্ত যে কয়জন প্রসিদ্ধ ধমর্ীয় সাধক ছিলেন তাদের মধ্যে আরমান আলী শাহ একজন৷ তিনি পায়ে হেঁটে হজ্জব্রত সমপাদন করে দেশে ফিরে মশুরীখলার পীর কেবলার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হন৷ নাগরি ভাষায় তাঁর একটি গানের পাণ্ডুলিপি রয়েছে, তাঁর ভক্তিমূলক গানের সংখ্যা প্রায় দুইশত৷ তাঁর বিখ্যাত পুঁথি সাহিত্য "হরিণনামা" পল্লী সাহিত্যের...
Learn More > -
শফিকুল হাসান (বাদশা মিয়া) ( ১৮৭৩-১৯৩১)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশফিকুল হাসান ওরফে বাদশা মিয়া একজন কামেল পীর ছিলেন৷ তিনি সংসার জীবন ত্যাগ করে এক নাগাড়ে বারো বছর ধ্যানরত ছিলেন৷ চারদিক থেকে তাঁর নিকট লোকজন আসত৷ তিনি তাদের ভাল কাজের জন্য উপদেশ দিতেন৷ তাঁর জ্ঞানের মহিমায় অনেক মানুষ আলোকিত হয়৷
Learn More > -
প্রকাশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ( ১৮৭৩-১৯৪৩)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনচতুরঙ্গ রায়ের পাড়া মহল্লায় ১৮৭৩ সালে প্রকাশ চন্দ্র ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি বানিয়াচং এল আর হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ছিলেন৷ ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং এক বছর কারাভোগ করেন৷ নানা কারণে মনোমালিন্যের ফলে শ্যমাচরণ দেব স্কুল ত্যাগ করে শীলচর চলে যাওয়ার পর প্রকাশচন্দ্র ভট্টাচার্য কলকাতা থেকে এল আর হাই স্কুলের স্বীকৃতি এনেছিলেন৷
Learn More > -
তারিনীচরণ চৌধুরী ( ১৮৭২-১৯৪৮)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৭২ সালে রঘু চৌধুরী পাড়ায় তারিনীচরণ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন৷ পিতা তারানাথ চৌধুরী ইটা পরগনার রাজা সুবিদ নারায়নের বংশধর৷ তারিনীচরণ চৌধুরীর উর্দ্ধতন পুরুষ রঘুনাথ চৌধুরী বানিয়াচঙ্গে এসে বসবাস শুরু করেন৷ তাঁর নাম অনুসারেই মহল্লার নামকরণ করা হয়েছে রঘু চৌধুরী পাড়া৷ ১৮৯৫ সালে পাবলিক হাই স্কুলে কয়েক বত্সর শিক্ষকতা করে তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেন৷ তাঁর তিন পুত্র৷ প্রথম পুত্র তাপস কুমার বিএসসি পাশ করে ওকালতি পেশায় যোগদান করেন৷ দ্বিতীয় পুত্র ভুপেন্দ্র কুমার চৌধুরী এবং তৃতীয় পুত্র শচীন কুমার চৌধুরী ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে কারাবরণকারী বিশিষ্ট নেতা৷
Learn More > -
মৌলভী হাফিজুল হাসান ( ১৮৭২-১৯০৭)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনমৌলভী হাফিজুল হাসান ১৮৭২ সালে কামালখানী মৌলভী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর বাবা ও ভাইয়েরা ধর্মজ্ঞানে তত্সময়েও শীর্ষে ছিলেন৷ মৌলভী হাফিজুল হাসান আরবি, ফার্সি, শিক্ষায় উঁচুস্তরের আলেম ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানে গুণান্বিত ছিলেন৷ তিনি নিজ বাড়িতে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে ইসলামী শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন৷ মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন৷
Learn More > -
শিবেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ( ১৮৭১-১৯৪৬)
Post on : 2013-04-04 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশিবেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ১৮৭১ সালে চৌধুরী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম সনদ চন্দ্র বিশ্বাস৷ তিনি দীর্ঘদিন বানিয়াচং হরিশ চন্দ্র হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন৷ স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনে তাঁর অনেক অবদান ছিল৷ পরবতর্ীতে তিনি মুক্তারি পাশ করে হবিগঞ্জ ফৌজদারি আদালতে আইন ব্যবসায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন৷ এই সময় তিনি কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বে ছিলেন এবং অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান ও নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯২১ সালে দশ মাস কারাভোগ করেন৷ তিনি হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, রাজশাহীসহ অনেক স্থানে কংগ্রেস রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন৷ ১৯৩০ সালে সিলেট জিন্দাবাজার থেকে সত্যাগ্রাহীদের...
Learn More > -
শিবেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ( ১৮৭১-১৯৪৬)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশিবেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ১৮৭১ সালে চৌধুরী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম সনদ চন্দ্র বিশ্বাস৷ তিনি দীর্ঘদিন বানিয়াচং হরিশ চন্দ্র হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন৷ স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনে তাঁর অনেক অবদান ছিল৷ পরবতর্ীতে তিনি মুক্তারি পাশ করে হবিগঞ্জ ফৌজদারি আদালতে আইন ব্যবসায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন৷ এই সময় তিনি কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বে ছিলেন এবং অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান ও নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯২১ সালে দশ মাস কারাভোগ করেন৷ তিনি হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, রাজশাহীসহ অনেক স্থানে কংগ্রেস রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন৷ ১৯৩০ সালে সিলেট জিন্দাবাজার থেকে সত্যাগ্রাহীদের...
Learn More > -
শ্যামাচরণ দেব ( ১৮৭০-১৯৪১)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশ্যামাচরণ দেব ১৮৭০ সালে রঘু চৌধুরী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন৷ হবিগঞ্জ হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং ঢাকা কলেজ থেকে এফ এ পাশ করে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন৷ ১৮৯৩ সালে তিনি এল আর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷ স্কুলটি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজে বেতন গ্রহণ না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করেন৷ ১৯০৭ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং বিভিন্ন সভা সমিতিতে উপস্থিত হয়ে জনসাধারণকে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও সার্থকতা বুঝিয়ে বক্তৃতা দিতেন৷ তিনি বানিয়াচঙ্গে প্রতিষ্ঠিত পাবলিক হাই স্কুলকে তাঁর বাবার নামানুসারে হরিশচন্দ্র হাই স্কুলে রূপান্তরিত করেন৷ ১৯২১ সালে অসহযোগ ও...
Learn More > -
হেলিম উল্লা খান
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনহেলিম উল্লা খান বিথঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তাঁর জন্ম৷ তিনি পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন৷ তাঁর সাহিত্য প্রতিভা ছিল অসাধারণ৷ 'কুসুম কানন' ও 'যুবক রঞ্জিনী' নামে তাঁর দুটো প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে৷ এছাড়া তাঁর অসংখ্য কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে৷
Learn More > -
হায়দর শাহ ( ১৮৭০-১৯৩৯)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনসাগর দীঘির পূর্ব পাড়ে হায়দর শাহ জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি অধ্যাতিক সাধক হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন৷ তিনি সাধনারত অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করে গেছেন৷ তাঁর ভাষা জ্ঞান সপষ্ট ছিল না, খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরার প্রতি তাঁর খেয়াল ছিল না৷ বাসস্থানের কোন ঠিকানা ছিল না, যথা তথা ঘুরে বেড়াতেন৷ লোকমুখে তাঁর অনেক অলৌকিক ঘটনার কথা শোনা যায়৷ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়৷ প্রতি বছর তাঁর সমাধিস্থলে মহরম পালন করা হয়৷
Learn More > -
খান বাহাদুর রফিকুল হাসান ( ১৮৭০-১৯৪২)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনরফিকুল হাসান কামালখানী মহল্লার এক সম্বান্ত পরিবারে ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ বাবা মঈদুল হাসান ছিলেন ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ণ লোক৷ তিনি সিলেট মুরারী চাঁদ কলেজ থেকে এফ এ পাশ করে সাব-রেজিষ্টার হন৷ উক্ত পদে নিজের গুণ ও দক্ষতার জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ডি এস আর হন এবং খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হন৷ দীর্ঘদিন চাকরি করার পর তিনি তত্কালীন ভিলেজ রেঞ্চ কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন৷ তাঁর তিন ভাই হাফিজুল হাসান, শফিকুল হাসান এবং ওয়াকিফুল হাসান জ্ঞানগরিমায় খুব উদ্দীপ্ত ছিলেন৷ ১৯৪২ সালে ৭২ বছর বয়সে তিনি নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন৷ তাঁর পাঁচ ছেলে সিদ্দিক হাসান, আতিকুল হাসান, রাশিদুল...
Learn More > -
আব্দুল জব্বার চৌধুরী ( ১৮৭০-১৯৫৬)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনকাগাপাশা গ্রামে ১৮৭০ সালে আব্দুল জব্বার চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন সত্ ও দক্ষ সমাজ সেবক ছিলেন৷ গ্রাম্য সালিশিতে তিনি জোরালো ভূমিকা রাখতেন৷ তাঁরই উদ্যোগে বানিয়াচং নবীগঞ্জ রাস্তার কাজ শুরু হয়৷ ১৯৫৬ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷
Learn More > -
মৌলানা আব্দুর রহমান ( ১৮৭০-১৯৭৯)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনমৌলানা আব্দুর রহমান তোপখানা মহল্লার সম্বান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা মো. নিয়াজ ছিলেন একজন মুন্সি উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি৷ আব্দুর রহমান ছিলেন হাফিজুল হাসান প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার হেড মৌলানা ও সেক্রেটারি৷ তাঁর মৃতু্যর পর মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়৷ ১৯৭৯ সালে এই মাদ্রাসাটি পুন:প্রতিষ্ঠিত করে রাশিদিয়া হাসানিয়া জামে উলুম নামকরণ করেন মরহুম রাশিদুল হাসান (জজ সাহেব)৷ মৌলানা আব্দুর রহমান অসামাজিক কার্যকলাপ ও ভণ্ডপীরদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন৷ ১৯৭৯ সালে এই কর্মপ্রাণ ব্যক্তি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর বড় ছেলে আব্দুল মান্নান একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি৷
Learn More > -
অধ্যাপক পদ্মনাথ ভট্টাচার্য ( ১৮৬৮-১৯৪৫)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনঅধ্যাপক পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাভূষণ পাড়ায় ১৮৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৮৮০ সালে তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সমগ্র আসামের পরীক্ষাথর্ীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন৷ ১৮৯০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজি, সংস্কৃতি ও দর্শন শাস্ত্রে অনার্সসহ তিনি বি.এ. পাস করেন৷ অতঃপর শ্বাশত সমাজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাঁকে স্বরস্বতী ও বিদ্যাবিনোদ উপাধি দেওয়া হয়৷ ১৮৯২ সালে তিনি ইংরেজিতে এম এ পাশ করার পর সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজে ইংরেজি, সংস্কৃত, লজিক ও ইতিহাসের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন৷ শ্রীহট্ট সাহিত্য পরিষদ ১৯৩১ সালে ভট্টকবিতা সংগ্রহে ব্রতী হলে পদ্মনাথ ভট্টাচার্য তাঁর সংগৃহীত...
Learn More > -
পার্বতীচরণ বিশ্বাস ( ১৮৬৮-১৯২৫)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৬৮ সালে চৌধুরী পাড়ায় পার্বতীচরণ বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা কমল নারায়ণ বিশ্বাস একজন বিজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন৷ পার্বতী চরণ বিশ্বাস ইংরেজি শিক্ষা লাভ স্বত্বেও ধমর্ীয় আচার অনুষ্ঠানে শ্রম দিতে ভালবাসতেন৷ তিনি নিজে গান লিখে নিজেই সুর দিয়ে গাইতেন৷ তাঁর কয়েকটি গান বানিয়াচং দর্পনে উল্লেখ আছে যা লোক মুখে এখনও শোনা যায়৷ ১৯২৫ সালে উদার চরিত্রের অধিকারী পার্বতী চরণ বিশ্বাস নিজ বাড়িতে ইহলোক ত্যাগ করেন৷ অধ্যাপক পদ্মনাথ ভট্টাচার্য
Learn More > -
সাজিদুর রহমান ( ১৮৬৫-১৯৭৪)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনপুরান তোপখানা মহল্লায় সাজিদুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন৷ একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও এতদাঞ্চলের গ্রাম্য পঞ্চায়েতে বিশেষ যুক্তিবাদী ও সুবিচারক হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল৷ শিক্ষার ক্ষেত্রেও ছিল তাঁর অগ্রণী ভূমিকা৷ তিনি ছিলেন ১৮৮৬ইং সনে প্রতিষ্ঠিত তোপখানা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম এবং দাতা হিসেবে এ স্কুলের সাথে আজীবন জড়িত৷ এ ছাড়া বানিয়াচঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় তিনি সক্রিয় ছিলেন৷ তিনি ছিলেন সাবেক এম.এন.এ নুরুল হোসেন খানের ভগি্নপতি৷ তাঁর ছয় ছেলের মধ্যে পাঁচজনই ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী৷ তন্মধ্যে তৃতীয় ছেলে মরহুম জিয়াউল মুহিত খানের ছেলে আখলাক হুসেন খান...
Learn More > -
হেমচন্দ্র সেন ( ১৮৬৫-১৯৪৫)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনহেমচন্দ্র সেন, সুশীলচন্দ্র সেন, গিরিসচন্দ্র সেন, ধীরেন্দ্র চন্দ্রসেন, হিরণ চন্দ্র সেন ও সুরুজ চন্দ্র সেন এই ছয় ভাই এবং দুই বোন আশালতা সেন ও হেমলতা সেন তত্কালীন ভারতের সন্ত্রাসবাসী আন্দোলনে বিপ্লবী কমর্ী হিসেবে সমগ্র ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রসিদ্ধি লাভ করেন৷ বিপ্লবী ভাইবোনের নেতা হেমচন্দ্র সেন ১৮৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ পিতা কৈলাশচন্দ্র সেন আসামের চিফ কমিশনার অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন৷ তাঁদের পূর্বপুরুষ বিক্রমপুর থেকে এসে বানিয়াচঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন৷ হেমচন্দ্রসেনের বড়ভাই গিরিশচন্দ্রসেন ব্রিটিশ শাসনকালে সুনামগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক ছিলেন৷ হেমচন্দ্র সেন...
Learn More > -
আনন্দময় ব্রহ্মচারী ( ১৮৬৩-১৯৪০)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনযাত্রাপাশা মহল্লায় আনন্দময় ব্রহ্মচারী ১৮৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি যৌবনকালে ঘরসংসার ত্যাগ করে সন্যাসী সেজে বিভিন্ন জনহিতকর কাজ করেন৷ 'শান্তি সোপান' নামে তার একখানা উঁচুমানের বই প্রকাশিত হয়েছিল৷ উপাসনা পদ্ধতি, গুরুগীতি, ক্রিয়া সারতত্ব নামে তাঁর কয়েকটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়৷ ১৯৪০ সালে তিনি দেহত্যাগ করেন৷
Learn More > -
লবিব উদ্দিন আহমেদ ( ১৮৬৩-১৯৪৩)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনলবিব উদ্দিন আহমেদ ওরফে লাল মিয়া চতুরঙ্গ রায়ের পাড়ায় ১৮৬৩ সালে এক সম্বান্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি এলাকায় একজন সমাজ সেবক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন৷ শিক্ষকতা ও ব্যবসার পাশাপাশি তিনি সঙ্গীত চচর্া করতেন৷ যন্ত্রসঙ্গীতে তিনি বিশেষ পারদশর্ী ছিলেন৷ ১৯৪৩ সালে ৭০ বত্সর বয়সে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর ছেলে এডভোকেট সাহাবুদ্দিন আহমেদ একজন কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে দেশবিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন৷ তিনি ১৯৪০ সাল থেকে হবিগঞ্জে আইন ব্যবসা শুরু করে অদ্যাবধি সুনামের সাথেই জড়িত আছেন৷ তিনি হবিগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকতর্া ও উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷ একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে...
Learn More > -
মৌলানা সৈয়দ আক্তার নবী ( ১৮৬১-১৯২১)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনসৈয়দ আক্তার নবী সাগর দিঘীর পূর্বপাড়ে সৈয়দ আজম আলীর ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন সুবক্তা এবং ইসলামী চিন্তা চেতনার ধারক ও বাহক৷ তিনি ফার্সি ভাষায় বিশেষ জ্ঞান লাভ করে শিলচর হাই স্কুলে দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেন৷ তাঁর অনেক শিষ্য রয়েছে৷ দ্বীনি শিক্ষা বিসতারের প্রবল আগ্রহ থাকায় তিনি বৃদ্ধ বয়সে ছাত্রদের অবৈতনিক শিক্ষা দান করে গেছেন৷
Learn More > -
এলাহী বঙ্ ( ১৮৬১-১৯৪০)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনলামাপাড়া মহল্লায় ১৮৬১ সালে শেষ দিকে এলাহী বঙ্ এক গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ মারফতি মুর্শিদী ও দেহতত্ত্ব গান লিখে ও গেয়ে তিনি বানিয়াচঙ্গে বাউলা শাহ হিসেবে সমাধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন৷ লেখাপড়া সামান্য করলেও বিশেষ জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে অল্প সময়েই তিনি এলাকার সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিরেন৷ মেধাবী বাউলা শাহ নিজেই গান লিখতেন এবং নিজেই সারিন্দা বাজিয়ে গান গাইতেন৷ সাহিত্যিক জনাব ইসমাইল তরফদার 'হবিগঞ্জের মরমী সাধক' গ্রন্থে এলাহী বঙ্ ও তাঁর কয়েকটি গানের উল্লেখ করেছেন৷ এই মারফতি গানগুলো খুবই হৃদয়গ্রাহী৷ এলাহী বঙ্ সারিন্দা বাজিয়ে গান করতেন৷ তাঁর হৃদয় থেকে উত্সারিত মুর্শিদ নামের প্রশংসা ও খোদা...
Learn More > -
অনাদি চরণ বিশ্বাস ( ১৮৬১-১৯২৩)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৬১ সালে চৌধুরী পাড়া মহল্লায় পণ্ডিত অনাদিচরণ বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন৷ পিতামহ কবি কমল নারায়ণ বিশ্বাস ও পিতা কালী নারায়ন ছিলেন জমিদার৷ তিনি নিজ বাড়িতে স্কুল চালু করে বাংলা ইংরেজি ও সংস্কৃত শিক্ষা দিতেন৷ লেখক অধ্যাপক পদ্মনাথ ভট্টচার্য্যের আর্থিক সাহায্যে সিলেট ইতিবৃত্ত গ্রন্থ প্রকাশিত হলে তিনি ঐ গ্রন্থে অনেক ভুলক্রটি সংশোধনের জন্য পদ্মনাথকে পরামর্শ দেন৷ অবশেষে তিনি নিজেই বানিয়াচং অংশের অনেক তথ্য ও তথ্যগত ভুলের প্রতিবাদ করে রচনা করেন 'বানিয়াচং কাহিনী' নামে অন্য একটি গ্রন্থ৷ এই গ্রন্থটি এখন দুষ্প্রাপ্য৷ জানা যায়, এই গ্রন্থে রয়েছে বানিয়াচঙ্গের অনেক ঐতিহাসিক উপাদান ও লোকজ ইতিহাস...
Learn More > -
নব নারায়ন ভট্ট ( ১৮৬১-১৯২২)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনমোহরের পাড়া মহল্লায় ১৮৬১ সালে ভট্টকবি নব নারায়ন ভট্ট জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর দুটি কাব্য গ্রন্থ 'শ্রী রাধিকার বস্ত্র হরণ' ও 'শ্রী হরির বালা লীলা' কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়৷ জানা যায় অধ্যাপক পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদন বানিয়াচঙ্গে কবিদের কবিতা সংগ্রহ করে যতীন্দ্র মোহন সংগ্রহ শালায় জমা দেন৷ ১৯৮৯ সালে শ্রীহট্টের ভট্ট সঙ্গীত নামে কলকাতা থেকে অধ্যাপক যতীন্দ্র মোহন ভট্ট্রাচার্যের সম্পাদনায় যে বইটি প্রকাশিত হয় এতে বানিয়াঙ্গের ভট্ট কবিদের কবিতাই রয়েছে ৩০টি৷ নব নারায়ন ভট্টের সমসাময়িক রঘুনাথ ভট্টও রচনা করেন অনেক ভট্ট কবিতা৷ তাঁর বাড়িও মোহরীর পাড়া মহল্লায়৷ এই মহল্লায় আরো অনেক ভট্ট কবির নাম পাওয়া যায়৷...
Learn More > -
মৌলানা আব্দুর রহমান ( ১৮৬০-১৯৪০)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনদক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী পরিবারে ১৮৬০ সালে মৌলানা আব্দুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি কলকাতা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন৷ বড় মৌলানা বলে তিনি খ্যাত ছিলেন৷ মৌলানা আব্দুর রহমান ব্যক্তিজীবনে ছিলেন অত্যন্ত সরল ও উদার৷ উপমহাদেশের প্রখ্যাত অনেক আলেম তাঁর ছাত্র ছিলেন৷ ১৯৪০ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তাঁর ছেলেরা সকলেই বর্তমানে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী৷
Learn More > -
মাওলানা রেদওয়ান উদ্দীন আহমদ ( ১৮৬০-১৯২৬)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনআমীরখানী মহল্লায় ১৮৬০ সালে মৌলানা রেদওয়ান উদ্দীন আহমদ জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম দোস্ত মোহাম্মদ৷ মাওলানা রেদওয়ান উদ্দীন দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে হাদিস ও ফিকাহ্ শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে ইলমে মারিফতের জ্ঞান সাধনার জন্য বোম্বের হাজী মৌলানা অলি মোহাম্মদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে খেলাফতপ্রাপ্ত হন৷ অতি নম্র ও কোমল স্বভাবের এই মনিষীর জ্ঞানের রশ্মি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেশ বিদেশ থেকে অগণিত মানুষ তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে৷ খেলাফত আন্দোলনের তিনি ছিলেন বিশিষ্ট নেতা৷ তিনি সব সময় সুন্নতের লেবাসে চলাফেরা করতেন৷ বাড়ির ত্রিগম্বুজ মসজিদ তাঁরই প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়েছিল৷ তাঁর তিন ছেলের সকলেই...
Learn More > -
সীতানাথ তত্ত্বভূষণ ( ১৮৫৬-১৯৪৫)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনসীতানাথ তত্ত্বভূষণ সাংঘর গ্রামে ১৮৫৬ সালের ১০ ফেবূ্রয়ারি জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৮৭৪ সালে তিনি কলকাতা এলবার্ট স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পাশ করেন৷ ১৮৭৯ সালে তিনি কলকাতা সিটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন৷ এই সময়ে তিনি ইংরেজি, বাংলা ও সংস্কৃত শাস্ত্র পাঠ করে সুপণ্ডিত হয়ে উঠেন৷ তিনি বইয়ের যে কোন অংশের যে কোন পাতা হুবহু বলে দিতে পারতেন৷ ১৮৯৬ সালে তাঁর জ্ঞানের পরিধি দেখে কর্তৃপক্ষ তাঁকে কেশব একাডেমীর প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ দেন৷ কেশব একাডেমী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ছাত্রদের কৃতিত্বের কথা শুনে তত্কালীন সিটি কলেজে তিনি আমন্ত্রণ পান৷ তিনি ১৮৯৯ সালে সিটি কলেজের দর্শন...
Learn More > -
রমন কৃষ্ণ বিশ্বাস ( ১৮৪৩-১৯৩৯)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৪৩ সালে চৌধুরী পাড়ায় কাশ্যপ গোত্রজ বংশে রমনকৃষ্ণ বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি মুরারী চাঁদ কলেজ থেকে ইংরেজি অনার্স সহ বি.এ পাশ করে ডেপুটি কালেক্টর ও পরে এসডিসি হিসেবে আসামের বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন৷ যতদূর জানা যায় কর্মক্ষেত্রেই তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷ তিনি শ্রীহট্ট সুধীমণ্ডলের সভাসমিতিতে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হতেন৷
Learn More > -
সৈয়দ ইমাম ওয়াজিদ ( ১৮৩৭-১৮৯৮)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনসৈয়দ ইমাম ওয়াজিদ মীরমহল্লায় ১৮৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি কলকাতা থেকে আরবি ও ফার্সিতে উচ্চ শিক্ষালাভ করেন৷ তিনি ছিলেন জুরির মুনসেফ ও বানিয়াচং থানা ঈদগাহের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম৷ তিনি জাফলং, জৈন্তা, ইটা, কৈলাশ্বর প্রভৃতি পরগনায় ওয়াজ নসিহত করতেন এবং অনেক লোককে মুরীদান করেন৷ একবার সৈয়দ গোলাম ওয়াজিদ সাহেব কিছু লোক কর্তৃক আক্রান্ত হলে তাঁর ভক্তরা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়৷ এতে পুলিশ তাঁকে আটক করে৷ কিন্তু তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির কথা অবগত হয়ে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে খালাস দেয়৷ ১৮৯৮ সালে তিনি নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন৷ তাঁর এক ছেলে মৌলভী সৈয়দ গোলাম রাব্বী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত...
Learn More > -
মাওলানা আজিজুল হোসেন ( ১৮৩১-১৯২৬)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮৩১ সালে তকবাজখানী মহল্লায় মাওলানা আজিজুল হোসেন জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি কলকাতা ও ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়ে বানিয়াচং এলআর হাই স্কুলে আরবি ও ফারসির শিক্ষক পদে নিযুক্ত ছিলেন৷ আরবি ফারসি ও ইলমে ফরায়েজে তাঁর প্রগাঢ় জ্ঞান ছিল৷ বিনা পয়সায় তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের জ্ঞান দান করতেন৷ তাঁর আচার আচরণে মানুষ মুগ্ধ হতো৷ সিকান্দরনামা, বাহার দানিশ, দেওয়ানই হাফিজ এর যে কোনো অংশ তিনি সুরেলা কন্ঠে উদৃত করতে পারতেন৷ এই দ্বীনদার লোক ৯৫ বত্সর বয়সে ১৯২৬ সালে ইন্তেকাল করেন৷
Learn More > -
লোকনাথ চক্রবর্তী ( ১৮২৯-১৮৯৫)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনলোকনাথ চক্রবর্তী ১৮২৯ সালে নৈরপাড়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন৷ সিলেটের নয়াসড়কস্থ বিখ্যাত খাজাঞ্চি বাড়ির জমিদার রমন বিহারী শর্মা ৫/৬ নং ইষ্টেটের জমিদারি ক্রয় করে লোকনাথ চক্রবতর্ীকে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেছিলেন৷ পরবর্তী কালে ঐ জমিদার তাঁকে দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করে ৫/৬ নং ইষ্টেটের মালিকানা দান করেন৷ রমন বিহারীকে উদ্বুদ্ধ করে তিনি ১৮৬১ সালে লোকনাথ রমন বিহারী এম ই স্কুল নামে ৫/৬ নং কাছারী সংলগ্ন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন৷ পরবতর্ীকালে শ্যামা চরণ দেব স্কুলের নাম পরিবর্তন করে হরিশ চন্দ্র হাই স্কুল নামকরণ করলে স্কুলটি আর্থিক সংকটে পতিত হয়৷ তখন বিরাট অংকের অনুদান প্রদান করে লোকনাথ রমন...
Learn More > -
কমল নারায়ণ বিশ্বাস ( ১৮২৮-১৮৭৪)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৮২৮ সালে জাতুকর্ণপাড়ায় কমল নারায়ণ বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি সংস্কৃত ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করে তত্কালে নিজ বাড়িতে সংস্কৃত শিক্ষা দিতেন৷ তখন পাড়ায় পাড়ায় টোল প্রথার প্রচলন ছিল৷ তাঁর তিন ছেলে অনাদিচরণ বিশ্বাস, পার্বতীচরণ বিশ্বাস ও প্রমোদাচরণ বিশ্বাস পিতার প্রতিষ্ঠিত স্কুলে বাংলা, সংস্কৃতি ও ইংরেজি পড়াতেন৷ কমল নারায়ণ বিশ্বাস অগাধ সম্পত্তির মালিক ছিলেন৷ তাঁর লেখা গান সে সময়ে খুবই জনপ্রিয় ছিল৷ তিনি প্রায় এক হাজার গান এবং ধুমকেতু নামে একখানা কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়৷ ১৯০৪ সালে তাঁর মৃতু্য হয়৷
Learn More > -
সৈয়দ গোলাম ইমাম ( ১৭৮৫-১৮৯০)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনসৈয়দ গোলাম ইমাম ১৭৮৫ সালে মীর মহল্লায় সৈয়দ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা মীর সৈয়দ গোলাম হাফেজ আরবি, উদর্ু ও ফারসিতে পান্ডিত্যের জন্য দিল্লীর দরবার থেকে মীর-ই উপাধিতে ভূষিত হন৷ গোলাম ইমাম ইংরেজি, ফারসি, আরবি ও উদর্ু অধ্যয়নে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ভিলেজ বেঞ্চ কোর্টএর মুন্সেফ নিয়োগ করেন৷ সুবিচার করে তিনি দেশ বিদেশে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন৷ তিনি প্রখর আধ্যাত্মিক গুণের অধিকারী ছিলেন৷ তাঁর পুত্র আলী ইমামও ছিলেন ভিলেজ কোর্টের বিচারপতি৷ ১৮৯০ সালে তিনি মৃতু্যবরণ করেন৷
Learn More > -
ফারজান আলী বেখুদ ( ১৭৮৫-১৮৬৫)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জন১৭৮৫ সালে তকবাজখানী মহল্লায় ভারত বিখ্যাত উদর্ু কবি ফারজান আলী বেখুদ জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি উদর্ু, আরবি ও ফার্সি ভাষায় প্রচুর কবিতা, জারি ও মর্সিয়া রচনা করেন৷ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ জানা যায়, তিনি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মুন্সেফ ছিলেন৷ বাংলা ও উদর্ু গ্রন্থে তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী বর্ণিত আছে৷ বানিয়াচং দর্পন থেকে জানা যায়, বেখুদ রচিত কবিতার পাণ্ডুলিপি, 'আল্লাহ কেয়া তৈরি শান হায়, জানওয়া গরিকা শরমিনদা হায়' এবং 'আগে তোর হুদম পীরিক' এশিয়াটিক সোসাইটিতে রক্ষিত আছে৷ তিনি ১৮৬৫ সালে মৃতু্যবরণ করেন বলে জানা যায়৷ তাঁর বংশধরগণ তকবাজখানী মহল্লাতে সুনামের সাথে বসবাস করে আসছেন৷
Learn More > -
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাই ( ১৫৭৬-১৬৬২)
Post on : 2013-04-02 By:Aunik Rahman | বানিয়াচঙ্গের শত জনশ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাই দাস বংশীয় বনমালীর ঔরশে ও জাহ্নবীর গর্ভে ১৫৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি অগাধ জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ছিলেন৷ তিনি হিন্দু ধমর্ীয় সমাজের জ্ঞানভাণ্ডার প্লাবিত করেছিলেন৷ তিনি জগত্ মোহন গোসাইর শিষ্য শান্ত গোসাইর দ্বারা দীক্ষা গ্রহণ করেন৷ ভারতের নানা স্থান ভ্রমণ করে অবশেষে তিনি বিথঙ্গলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন৷ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ স্থানে স্থানে হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকদের ঐক্যবদ্ধ করে ধমর্ীয় জ্ঞান দান করে স্মরণীয় হয়ে আছেন৷ তাঁর মৃতু্যর অনেক পর তাঁর স্মরণে বানিয়াচং সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার পশ্চিমে বিথঙ্গল গ্রামে উপাসনার জন্য একটি আখড়া স্থাপন করা...
Learn More >